Header Ads

Sponsored by

About our village









অবস্থানঃ কাঠালতলী গ্রামটি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার অন্তর্ভূক্ত তারানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম। গ্রামটির পূর্বে চন্ডীপুর, উত্তরে ভাওয়াল এবং গুইটা, পশ্চিমে শুটকির টেক ও রায়তা এবং দক্ষিণে রয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের জমি ও পরে নয়াগাও। উপরের ছবিতে নির্দেশিত চিত্রটিই গ্রামটির মূল নকশা বা আকৃতি।

নামকরণঃ “কাঠালতলী” গ্রামের নামকরণ নিয়ে আঞ্চলিক বয়োজোষ্ঠ্য মুরুব্বিদের মধ্যে মত-পার্থক্য রয়েছে। নামকরণের পেছনে যে দুটি সম্ভাব্য ঐতিহাসিক কারণকে  সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয় তার পেছনে ইতিহাস ভিত্তিক কোন শক্ত সমর্থন পাওয়া যায় না। অনেকের মতে গ্রামটির উৎপত্তি হয়েছে ব্রিটিশ শাষনামল বা এর পরে অর্থাৎ ১৮০০ শতকের দিকে। সুতরাং কেউ কেউ মনে করেন তৎকালীন ভৌগোলিক অবস্থার ভিত্তিতে গ্রামের নাম করণ করা হয়েছে।



নামকরণ নিয়ে প্রবীণদের প্রথম ধারণাটি হলো-
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে “কাঠালতলী”তে প্রচুর কাঁঠাল জন্মাতো। সুতরাং তারা মনে করেন সুস্বাদু ফল কাঁঠাল থেকেই কাঠালতলীনামের উৎপত্তি।

নামকরণ নিয়ে প্রবীণদের দ্বিতীয় ধারণা টি হলো-
কাঠালতলীশব্দটি কাঁঠালথেকে নয় বরং শব্দটি এসেছে কাঢালবাকাঁটালশব্দ থেকে। আঞ্চলিক ভাষায় কাঢাল” বা কাঁটাল শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রচন্ড স্রোত। গ্রামের মান চিত্রটি ভালো ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এর চতুর্দিকে ঘিরে আছে বিশাল আয়তনের ফসলের জমি এবং দক্ষিণে রয়েছে নিম্নাঞ্চল। উত্তরে কাশারিয়াচকএবং পূর্বে ও পশ্চিমে আবাদি জমি। লোকশ্রুতি আছে অনেক আগে যখন এই গ্রামের অস্তিত্ব ততটা স্পষ্ট নয় এবং জনপদ গড়ে উঠেনি তখন এই অঞ্চলে বর্ষাকালে প্রচুর পানির স্রোত ছিল। লোক জন মাছ ধরা ও চাষবাসের কাজে এই দিকটাতে আসতো, জেলেরা মাছ ধরে পার্শবর্তী টেক (উঁচু জায়গা) ব্যবহার করতো সেগুলো শুটকি বানানোর উদ্দ্যেশ্যে যেটি বর্তমানে “শুটকির টেক” নামে পরিচিত। শোনা যায়, মাঝে মধ্যেই প্রবল পানির স্রোতে নৌকা, ফসল বা মানুষ তলিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতো বর্তমান কাঠালতলী অঞ্চলটাতে। যেহেতু আঞ্চলিক লোক জন স্রোত কে কাঁটাল” বা কাঢাল” বলেতাই কাঢালে তলিয়ে যাওয়াথেকেই জায়গাটির নাম হয় কাঢালতলী” আবার কেউ কেউ বলতো কাডলতলী। পরবর্তীতে দেশ বিভাগের পর বা যখন এখানে জনপদ গড়ে উঠে তখন কাগজে-কলমে একটু শুদ্ধরুপ দিতে গিয়ে গ্রামটির নাম হয় “কাঠালতলী”। কাঠালতলী নামটি লিখতে সাধারনত চন্দ্রবিন্দু (৺ ) ব্যবহার করা হয়না এই জন্যে যে, এর উৎপত্তি বা শব্দ গঠন, জাতীয় ফল “কাঁঠাল” থেকে নয়, এসেছে আঞ্চলিক শব্দ “কাঢাল” থেকে।

No comments

Powered by Blogger.